ছবি: সংগৃহীত
অনলাইন ডেস্ক:
ঢাকা: সরকারি, আধাসরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানগুলোর আউটসোর্সিং, দৈনিক মজুরি ও প্রকল্পভিত্তিক কর্মীরা আগামী ১৭ নভেম্বর (সোমবার) জাতীয় শহীদ মিনার-এ এক বৃহৎ সমাবেশ করবেন। এই সমাবেশের আয়োজন করেছে বাংলাদেশ আউটসোর্সিং কর্মচারী ঐক্য পরিষদ। সংগঠনের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সভাপতি মোঃ রফিকুল ইসলাম সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দিয়েছেন।

সমাবেশের মূল উদ্দেশ্য হলো – আউটসোর্সিং পদ্ধতির মাধ্যমে নিয়োজিত কর্মচারীদের ন্যায্য অধিকার নিশ্চিত করা, ঠিকাদার ভিত্তিক নিয়োগ ও শোষণপ্রথা বন্ধ করা, এবং একদিকে যেমন স্থায়ী নিয়োগের সুযোগ নেই তেমনই কর্মীদের নির্ধারিত বেতন-ভাতা, বাদ পড়া বকেয়া মওকুফ ও জীবিকার নিশ্চয়তা না থাকার অভিযোগ তুলেছে আয়োজকরা।
সংগठन জানায়, “নিয়মতান্ত্রিক নিয়োগ নয়, সরাসরি প্রতিষ্ঠানের আওতায় নিয়োগ দিতে হবে” — তাদের অন্যতম দাবি। এর সঙ্গে রয়েছে ঠিকাদারি কোম্পানির নিয়োগ পদ্ধতি বাতিল সহ কর্মীদের স্থায়ী পদে নিয়োগ দেওয়া ও বেতন-ভাতার সময়মতো পরিশোধ নিশ্চিত করার অনুরোধ।
উল্লেখ্য, পূর্বেও সংগঠন বিভিন্ন এলাকায় মানববন্ধন, বিক্ষোভ ও সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এই দাবিগুলো তুলে এসেছে। উদাহরণস্বরূপ, চট্টগ্রামে গত ২৩ আগস্ট আয়োজিত মানববন্ধনে সংগঠন জানিয়েছে, “আউটসোর্সিং, দৈনিক মজুরি ভিত্তিক ও প্রকল্পভিত্তিক কর্মীদের ঠিকাদার প্রথা বাতিল করে চাকরির নিশ্চয়তা ও সরাসরি নিয়োগ নিশ্চিত করতে হবে।”
অন্যদিকে, বিশ্লেষকরা বলছেন যে, বর্তমান আউটসোর্সিং পদ্ধতিতে নিয়োগ বাণিজ্য, কর্মচারীর নিরাপত্তাহীনতা এবং বেতন-ভাতার ক্ষেত্রে দেরি উত্তাপ সৃষ্টি করেছে। একটি সংবাদ-কলাম বলছে, “গরিবার দেশে ঘুষে নিয়োগ দেওয়া হয়, অথচ কর্মীরা স্থায়ী নিশ্চয়তা থেকে বঞ্চিত”৷
এইদিকে, আগামী সমাবেশে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক কর্মচারী অংশগ্রহণের সম্ভবনা রয়েছে। আয়োজকরা বলছেন, একক কর্মসূচিতে বৃহৎ অংশগ্রহণ ঘটলে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করা সম্ভব হবে, এবং এরপর দাবি বাস্তবায়নের জন্য কার্যকর পর্যায়ে আলোচনা ত্বরান্বিত হবে।
কর্মসূচিতে অংশ নেওয়ার ইচ্ছুকদের জন্য বলা হয়েছে, সকাল ১০টা থেকে সমাবেশ শুরু হবে এবং যথাসময়ে ভাষণ ও মঞ্চ পরিচালনা করা হবে। অংশগ্রহণকারীদের পরিবহন ও নিরাপত্তার বিষয়েও সংগঠন আগে থেকেই প্রস্তুতি নিচ্ছে।
সংক্ষেপে, আগামী ১৭ তারিখের সমাবেশ শুধু একটি কর্মসূচি নয়— এটি আউটসোর্সিং কর্মচারীদের দীর্ঘদিনের দাবির একটি মূলবান হাতিয়ারে পরিণত হতে পারে, যেখানে তাদের স্থায়ী নিয়োগ, বেতন-ভাতার নিশ্চয়তা এবং শোষণমুক্ত কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করার অভিপ্রায় হিসেবে দাঁড়িয়েছে।
Leave a Reply