1. smmarufbillah@yahoo.com : admin : Maruf Billah
  2. shamim.unisa@gmail.com : Shamim Hossain : Shamim Hossain

অক্সফোর্ডে তারেক রহমানের রাজনৈতিক চিন্তা ও নীতিকৌশল নিয়ে আলোচনা সভা

  • পোস্টিং সময় : শনিবার, ২৫ অক্টোবর, ২০২৫
  • ৫ Time View

লন্ডন ( ২৫ অক্টোবর ) বিশ্বখ্যাত অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের রাজনৈতিক চিন্তা ও নীতিকৌশল নিয়ে প্রকাশিত ‘Tarique Rahman : Politics and Policies Contemporary Bangladesh বইয়ের উপর আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, ফ্যাসিবাদমুক্ত বাংলাদেশকে গণতন্ত্রের কাঙ্খিত লক্ষে পৌঁছুতে তারেক রহমানের ভিশনারী নেতৃত্বের বিকল্প নেই।
শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির এক্সিটার কলেজ অডিটোরিয়ামে অক্সফোর্ড বাংলা সোসাইটি আয়োজিত অনুষ্ঠানে অক্সফোর্ড ছাড়াও ব্রিটেনের অন্য ইউনিভার্সিটিকে বাংলাদেশী শিক্ষার্থীরাও অংশ নেন। অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, বইটিতে বাংলাদেশে গণতন্ত্র, মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে তারেক রহমানের চিন্তা এবং পরিকল্পনা তুলে ধরা হয়েছে ।

বইয়ের উপর আলোচনা সভায় অংশ নেন, সাবেক ব্রিটিশ কূটনীতিক স্যার পিটার হিপ, আন্তর্জাতিক মানবাধিকার ব্যক্তিত্ব ড.শহিদুল আলম এবং সাবেক এমপি জহির উদ্দিন স্বপন। আলোচনা সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন, মিড্লসেক্স ইউনিভার্সিটির আইন বিভাগের শিক্ষক ডক্টর মানজিদা আহমেদ।

সভায় বিশিষ্ট মানবাধিকার কর্মী ড. শহিদুল আলম বলেন, তারেক রহমানের রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গিতে জনগণের অংশগ্রহণ ও জবাবদিহিতা—এই দুটি বিষয়কে তিনি বিশেষভাবে গুরুত্ব দিয়েছেন, যা বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ গণতন্ত্রের উত্তরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।

ব্রিটিশ কূটনীতিক স্যার পিটার হিপ বলেন, বাংলাদেশের রাজনীতিতে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে হলে আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ভারসাম্য ও কূটনৈতিক প্রজ্ঞা অত্যন্ত জরুরি।
বাংলাদেশ এবং বিএনপির কর্মপরিকল্পনা এবং তারেক রহমানের নীতি এবং পলিসি নিয়ে অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন সাবেক সংসদ সদস্য জহির উদ্দিন স্বপন এবং ডক্টর শহিদুল আলম।
মূল প্রবন্ধে ড. মানজিদা আহামেদ বলেন, তারেক রহমানের সংস্কারমুখী নেতৃত্বই ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য আশা জাগানিয়া। তিনি বলেন, তারেক রহমান দীর্ঘদিন নির্বাসিত অবস্থায় থেকেও দলের তৃণমূল কর্মীদের সঙ্গে গভীরভাবে যুক্ত আছেন এবং দেশের অর্থনীতি, টেকসই উন্নয়ন ও অগ্রগতির বিষয়ে অত্যন্ত সচেতন। তার লক্ষ্য বাংলাদেশকে অর্থনৈতিকভাবে স্বনির্ভর ও শক্তিশালী রাষ্ট্রে পরিণত করা।
ড. মানজীদা বলেন, তারেক রহমান প্রতিশোধের রাজনীতি পরিহার করে একটি ন্যায়ভিত্তিক ও সমতার সমাজ গড়তে চান—যেখানে থাকবে মত প্রকাশের স্বাধীনতা ও গণতান্ত্রিক অধিকার। তিনি বলেন, তারেক রহমান ইতিমধ্যেই দেশের পুনর্গঠনের জন্য ৩১ দফা সংস্কার পরিকল্পনা উপস্থাপন করেছেন, যা একটি নতুন, গণতান্ত্রিক ও আধুনিক বাংলাদেশের রূপরেখা।

সম্প্রতি ব্রিটেনের ফিনান্সিয়াল টাইমসকে দেয়া তারেক রহমানের বক্তব্যের উদৃতি দিয়ে ডক্টর মানজিদা বলেন, বাংলাদেশকে অ্যামাজন, ইবে প্রভৃতি বৈশ্বিক ই- কমার্স প্লাটফর্মের হাব হিসেবে গড়ে তোলাই তারেক রহমানের লক্ষ্য। ড. মানজিদা তাঁর বক্তব্যে জোর দিয়ে বলেন, তারেক রহমানের রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি প্রতিহিংসার রাজনীতি নয়, বরং “ন্যায়, স্বাধীনতা ও অগ্রগতি”-নির্ভর এক রেইনবো ন্যাশন গঠনের অঙ্গীকার।
জহির উদ্দিন স্বপন বলেন, তারেক রহমানের ৩১ দফা সংস্কার পরিকল্পনা বাংলাদেশের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক কাঠামোকে নতুন দিকনির্দেশনা।

মিডলসেক্স বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনিয়র লেকচারার ড. মানজীদা অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের রাজনৈতিক দর্শন ও দূরদৃষ্টি নিয়ে বক্তব্য রাখেন। তিনি বলেন, তারেক রহমান দীর্ঘদিন নির্বাসিত অবস্থায় থেকেও দলের তৃণমূল কর্মীদের সঙ্গে গভীরভাবে যুক্ত আছেন এবং দেশের অর্থনীতি, টেকসই উন্নয়ন ও অগ্রগতির বিষয়ে অত্যন্ত সচেতন। তার লক্ষ্য বাংলাদেশকে অর্থনৈতিকভাবে স্বনির্ভর ও শক্তিশালী রাষ্ট্রে পরিণত করা।

ড. মানজীদা উল্লেখ করেন, তারেক রহমান প্রতিশোধের রাজনীতি পরিহার করে একটি ন্যায়ভিত্তিক ও সমতার সমাজ গড়তে চান—যেখানে থাকবে মত প্রকাশের স্বাধীনতা ও গণতান্ত্রিক অধিকার। তিনি বলেন, তারেক রহমান ইতিমধ্যেই দেশের পুনর্গঠনের জন্য ৩১ দফা সংস্কার পরিকল্পনা উপস্থাপন করেছেন, যা একটি নতুন, গণতান্ত্রিক ও আধুনিক বাংলাদেশের রূপরেখা।

তিনি আরও বলেন, সাম্প্রতিক ফিনান্সিয়াল টাইমসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তারেক রহমান উল্লেখ করেছেন যে, ভবিষ্যতে বাংলাদেশকে অ্যামাজন, ইবে প্রভৃতি বৈশ্বিক বাণিজ্য প্রতিষ্ঠানের কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলাই তাঁর লক্ষ্য। ড. মঞ্জিদা তাঁর বক্তব্যে জোর দিয়ে বলেন, তারেক রহমানের রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি প্রতিহিংসার রাজনীতি নয়, বরং “ন্যায়, স্বাধীনতা ও অগ্রগতি”-নির্ভর এক রঙধনু জাতি গঠনের অঙ্গীকার।

অনুষ্ঠানটি যৌথভাবে পরিচালনা করেন অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী অক্সফোর্ড বাংলা সোসাইটির সভাপতি আহমেদ মুহতাদি ও সাইমুর মুজিব রহমান। বইটি লিখেছেন আমেরিকা প্রবাসী দি উইকলি রানার সম্পাদক মোহাম্মদ জয়নাল আবেদিন।

সোস্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো পড়ুন
Copyrights© 2025 BDSkyNews. All rights reserved.
Site Customized By NewsTech.Com