1. smmarufbillah@yahoo.com : admin : Maruf Billah
  2. shamim.unisa@gmail.com : Shamim Hossain : Shamim Hossain

স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কের সুস্থতায় চাই ‘কেয়ারিং’ ও ‘শেয়ারিং’ এর বন্ধন

  • পোস্টিং সময় : শনিবার, ২৫ অক্টোবর, ২০২৫
  • ২২ Time View

আমরা কম-বেশি সবাই চাই আমাদের পার্সোনাল লাইফ পার্টনার এর সাথে সম্পর্ক সুন্দর ও সুস্থ রাখতে অর্থাৎ ভালো রাখতে। কিন্তু সম্পর্কের মধ্যে কিছু কিছু ছোটো ছোটো বিষয় গুলোকে আমরা সেভাবে খুব বেশি গুরুত্ব দেইনা। আমরা সবসময় মনে করি টাকা থাকলে জীবনের সমস্ত স্বর্গ সুখ লাভ করা যায়।কিন্তু এই কথাটি আংশিক সত্য, সম্পূর্ণ সত্য নয়। জীবনে অবশ্যই ভালোভাবে বাঁচতে হলে অর্থের প্রয়োজন কিন্তু তা বলে এই অর্থই যে জীবনের সবকিছু তা কিন্তু নয়। আমরা যদি পরিসংখ্যান দেখি তাহলে দেখতে পাবো, বেশিরভাগ অর্থবান, সেলিব্রেটি মানুষদেরই সম্পর্ক গুলো খুব দ্রুত অসুস্থ হয়ে যায় অর্থাৎ ভেঙে যায়।

 

তাই এলিট সম্প্রদায়ের মানুষদের মধ্যে বেশি ডিভোর্স এর সংখ্যা লক্ষণীয়। কিন্তু একজন গরিব মানুষের সেভাবে অর্থ নেই কিন্তু তাদের সম্পর্ক আমরণ সুস্থ ও সুন্দর থাকে এবং এদের মধ্যে ডিভোর্স এর সংখ্যাও কম। তাই জীবনসঙ্গীর সঙ্গে তথা লাইফ পার্টনার এর সঙ্গে সম্পর্ক সুন্দর রাখতে হলে অর্থের পাশাপাশি যে দুটি বিষয় অবশ্যই প্রয়োজন তাহল – কেয়ারিং ও শেয়ারিং এর বন্ধন।

কেয়ারিং এর অর্থ হল লাইফ পার্টনারকে সবদিক থেকে খুশি রাখা, তার যত্ন নেওয়া,জীবনের ছোটো ছোটো বিষয় গুলোকে নিয়ে দুজনের মধ্যে প্রেম-অভিমান করা, ছোটো ছোটো জিনিস উপহার দেওয়া- যেমন স্বামীর ক্ষেত্রে হলে অফিস থেকে ফেরার পথে স্ত্রীর জন্য একটি গোলাপ নিয়ে যাওয়া, আপনি বিরিয়ানি বন্ধুদের সাথে খেলেন তখন স্ত্রীর জন্যও কিনে নিয়ে আসা, মাঝে মাঝে স্ত্রীর পছন্দের বিউটি মেকআপ নিয়ে আসা, শরীর খারাপের সময় বিশেষ করে পিরিয়ডের সময় পাশে থাকা, পছন্দের চকলেট গিফট করা, স্ত্রীকে নেলপলিশ পরিয়ে দেওয়া, মাঝে মাঝে বাইরে খেতে ও বেড়াতে নিয়ে যাওয়া, স্ত্রীর জন্য একবুক প্রেম নিয়ে প্রিয় কিছু লাইন লিখে তাকে শোনানো প্রভৃতি। যেহেতু মেয়েরা যত্নের পাগল তাই অর্থের থেকে মেয়েরা এই বিষয় গুলোকে বেশি পছন্দ করে।

অন্যদিকে, একজন স্বামীর পাশাপাশি একজন স্ত্রীরও উচিৎ তার স্বামীর কেয়ারিং করা। যেমন- শরীর খারাপের সময় যত্ন নেওয়া, স্বামীর পছন্দের খারার রান্না করা, স্বামী অফিস থেকে ফেরার সাথে সাথে তাকে একবুক হাসি মুখে এক গ্লাস জল দেওয়া, মাঝে মাঝে স্বামীকেও ছোটো ছোটো জিনিস গিফট করা, রিলাক্স করানোর জন্য প্রেম নিবেদন করা প্রভৃতি। আবার সম্পর্কের সুস্থতায় এই কেয়ারিং এর পাশাপাশি চাই দু-জনের মধ্যে শেয়ারিং এর বিষয়ও। শেয়ারিং মানে দু-জন দু-জনকে সময় দেওয়া, দু-জনের মনের কথা শোনা যেমন-স্বামীর উচিৎ স্ত্রী যদি মন খারাপ করে রাখে বা মুড অফ থাকে তার সাথে কথা বলা,কেন সে মন খারাপ করে রেখেছে তা জানা, তার শরীর কেমন আছে সে বিষয়ে খোঁজ নেওয়া প্রভৃতি। আর একজন স্ত্রীর উচিৎ স্বামীকে অনেক সময় দেওয়া, স্বামী কাজ থেকে ফিরলে তাকে বলতে হবে তুমি সঠিক সময়ে খেয়েছো কিনা, তোমার শরীর ঠিক আছে তো, স্বামীর মন খারাপ থাকলে তার সঙ্গে কথা বলা,তার মনকে ফ্রেশ করানোর চেষ্টা করা প্রভৃতি।অর্থাৎ উভয় উভয়ের মনের কথা শুনতে হবে, সুখে-দুঃখে পাশে থাকতে হবে ও যত্ন নিয়ে হবে। তাই বলতে চাই কেবল অর্থ নয় লাইফ পার্টনারের সাথে সম্পর্ক সুস্থ ও সুন্দর রাখতে হলে উভয়ের মধ্যে চাই কেয়ারিং ও শেয়ারিং এর বন্ধন।

প্রতিবেদক: এম এ নকিব নাছরুল্লাহ্,

বিভিন্ন পত্রিকা এবং অনলাইনে শিক্ষা, সামাজিক ও মানবিক বিষয় নিয়ে লেখালেখি করেন নিয়মিত।

সোস্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো পড়ুন
Copyrights© 2025 BDSkyNews. All rights reserved.
Site Customized By NewsTech.Com