কুমিল্লা-৬ আসন বিএনপির অন্যতম শক্ত এলাকা হিসেবে পরিচিত। দলীয় প্রার্থী মনিরুল হক চৌধুরী, যিনি বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা, নির্বাচনী প্রচারণায় সরগরম। তবে দলের মনোনয়ন না পাওয়া হাজী আমিনুর রশীদ ইয়াছিন ও তার সমর্থকদের তৎপরতা স্থানীয় তৃণমূল নেতাকর্মীদের মধ্যে অস্থিরতা তৈরি করছে।
স্থানীয় নেতাকর্মীরা অভিযোগ করেছেন, ইয়াছিন মনোনয়ন না পেলেও মনিরুল হক চৌধুরীর বিরুদ্ধে বিভিন্নভাবে অপপ্রচার চালাচ্ছেন, যা বিরোধী পক্ষের জন্য সুযোগ তৈরি করছে। এর ফলে দলের পক্ষে মাঠে কাজ করা নেতাকর্মীরা বিব্রত হচ্ছেন।

মনোনয়ন প্রক্রিয়া ও তৎপরতা
২৩৭টি আসনে প্রার্থী ঘোষণা করার সময় কুমিল্লা-৬-এ মনোনয়নপ্রত্যাশী ইয়াছিন ও তার সমর্থকরা দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে বিভিন্ন কর্মসূচি চালাচ্ছেন। স্থানীয় নেতারা জানিয়েছেন, মনিরুল হক চৌধুরীকে সাবধানভাবে নির্বাচনী জরিপ ও মাঠের অবস্থান বিবেচনা করে মনোনয়ন দেয়া হয়েছে।
তাদের মতে, দলীয় প্রার্থীর সঙ্গে একই এলাকায় অবস্থান নেওয়া বা কার্যক্রম পরিচালনা করা সংঘাতের সম্ভাবনা তৈরি করছে।

মনিরুল হক সাক্কুর ভূমিকা
দলের চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা ও কুমিল্লা সিটির প্রাক্তন মেয়র মনিরুল হক সাক্কু দলীয় সিদ্ধান্ত মেনে চলছেন এবং মনিরুল হক চৌধুরীর পক্ষে কাজ করছেন। তিনি তার কর্মী-সমর্থকদেরও ধানের শীষের পক্ষে সক্রিয় থাকার নির্দেশ দিয়েছেন।
সাক্কু বলেছেন, “যাকে চেয়ারপারসন ভালো মনে করেছেন, তাকেই দল মনোনয়ন দিয়েছে। আমাদের অবশ্যই তার পক্ষে কাজ করতে হবে। মনিরুল হক চৌধুরী একজন ত্যাগী ও পরীক্ষিত নেতা।”

স্থানীয় সমর্থন
স্থানীয় নেতাকর্মী এবং ভোটাররা মনিরুল হক চৌধুরীর পক্ষে রয়েছে।
কোটবাড়ি এলাকার অলি উল্লাহ: “মনিরুল হক চৌধুরী জনপ্রিয় নেতা। ইয়াছিনকে দলীয় নির্দেশ মানতে হবে।”
কালিরবাজারের মাসুম রানা: “মনিরুল হক চৌধুরী দলকে নিবেদিত। হয়তো ইয়াছিনকে অন্য কোনো সুযোগ দেওয়া হবে।”
বিশ্বরোডের কাওছার হোসেন: “এ আসনে বিকল্প নেই।”
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. আবুল বাশার বলেছেন, শহরের ৮০% নেতাকর্মী মনিরুল হক চৌধুরীর পক্ষে প্রচারণা চালাচ্ছেন।

মনিরুল হক চৌধুরীর বার্তা
মনিরুল হক চৌধুরী বলেছেন,
“দল আমাকে মনোনয়ন দিয়েছে। এখন সময় এসেছে সবাইকে ভেদাভেদ ভুলে ধানের শীষের পক্ষে একত্রিত হওয়া। নির্বাচিত হলে আমি দলের ঐক্য দৃঢ় করতে এবং ৩১ দফার ভিত্তিতে এলাকার উন্নয়ন কাজ চালাবো।”