পাকিস্তান তার এয়ার-টু-এয়ার ক্ষমতা আরও শক্তিশালী করার পথে এগোচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্র পাকিস্তানের বিমানবাহিনীকে (পিএএফ) সর্বাধুনিক এআইএম-১২০ সিরিজের মিসাইল সরবরাহের অনুমোদন দিয়েছে যা দুই দেশের সামরিক সম্পর্কের পুনরুজ্জীবনের প্রতীক হিসেবে দেখা হচ্ছে। খবর: সামা টিভি
এই মিসাইলগুলো যুদ্ধবিমান থেকে গ্ল্যাঞ্চ থেকে বিয়ন্ড ভিজ্যুয়াল রেঞ্জ (BVRAAM) ভিত্তিক সক্রিয় রাডার গাইডেন্স ব্যবহার করে লক্ষ্য ভেদ করতে সক্ষম। ওয়াশিংটনের সরকারি নথি অনুযায়ী পাকিস্তান ২০৩০ সালের মধ্যে এআইএম-১২০ডি-৩ অ্যাডভান্সড মিডিয়াম রেঞ্জ মিসাইলের পারচেজ পাবে এটি এএমরিএএএম পরিবারের সর্বশেষ সংস্করণ। চুক্তির মূল্য প্রায় ২.৫ বিলিয়ন ডলার এবং এটি রেথিয়ন কোম্পানির সঙ্গে সংযুক্ত এক প্রোগ্রামের আওতায় কার্যকর হবে।
বিশ্লেষকদের মতে, এআইএম-১২০ডি-৩ মিসাইল পাকিস্তানের এফ-১৬ বহরের আক্রমণ ও আকাশ প্রতিরক্ষা ক্ষমতাকে উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়াবে। নতুন মিসাইলটি আগের সংস্করণগুলোর তুলনায় আরও বেশি দূরত্বে এবং আরও নিখুঁতভাবে লক্ষ্যবস্তু ধ্বংস করার ক্ষমতা রাখে; পাশাপাশি গতানুগতিক শত্রু বিমানের পাশাপাশি ছুটে আসা ক্ষেপণাস্ত্রও ধ্বংস করার সক্ষমতা রয়েছে। ফলে পাকিস্তানের দূরপাল্লার আকাশযুদ্ধ ও প্রতিরক্ষা কৌশলে একটি বড় যোগ হবে।
পাকিস্তান কিছু বছর ধরে এই আপডেটকৃত এএমরিএএম সংস্করণ চেয়েছিল, যাতে আঞ্চলিক প্রতিদ্বন্দ্বীদের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ প্রতিরক্ষামূলক সক্ষমতা বজায় রাখা যায়।
চলতি বছরের জুলাইয়ে পাকিস্তান বিমানবাহিনী প্রধান এয়ার মার্শাল জাহির আহমেদ বাবর সিদ্দিকী যুক্তরাষ্ট্র ভ্রমণে সেখানে প্রতিরক্ষা ও রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকও করেন তৎকালীন কূটনৈতিক ও সামরিক আলোচনা এই অনুমোদনের পথ প্রশস্ত করার সঙ্গে যোগসূত্র রাখছে বলে সমালোচক ও বিশ্লেষকরা মনে করেন।
সামরিক বিশ্লেষকরা বলছেন, এ ধরণের আধুনিকায়ন পাকিস্তানের সামরিক প্রতিযোগিতায় কার্যকর প্রভাব ফেলবে এবং আঞ্চলিক নিরাপত্তা স্থিতিশীলতার ওপর নতুন প্রভাব বিস্তার করতে পারে।
ঢাকা ওয়াল/এমএস
Leave a Reply